বিশেষ প্রতিবেদক:

কক্সবাজার শহরের পেশকার পাড়াস্থ স্লুইস গেইটের মুখ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে এক প্রভাবশালী। উক্ত পাকা স্থাপনা নির্মাণ হলে পানি নিস্কাসনে বাধা গ্রস্থ হবে এবং শহরে জলাবদ্ধতা বাড়বে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। এদিকে স্লইস গেইটের মুখ দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান করা ব্যাক্তির দাবী এই জমি সে ক্রয় সূত্রে মালিক তাই এখানে বাড়ি করার অধিকার তার আছে কেউ তাকে বাধা দিতে পারবে না।

পেশকার পাড়া এলাকার নাছির আলম, শামসুল আলম সহ অনেকে বলেন গত দুদিন ধরে পেশকার পাড়াস্থ বাকঁখালী নদীর পাড়ে ডে স্লুইস গেইট টি আছে তার মুখ দখল করে রাশেদ নামের এক ব্যাক্তি বাড়ি নির্মাণ করার নামে পুরু নালা দখল করে আরসিসি পিলার করে ভারী দেয়ার দিচ্ছে, আমরা প্রথমে বাধা দিলেও পরে তাতে কাজ না হওয়ার বিভিন্ন দপ্তরেও মৌখিক ভাবে অভিযোগ করি কিন্তু কোন কাজ হয় নি। আমাদের দাবী বর্তমান পৌর পরিষদ অনেক কষ্ট করে পৌর শহরকে কিছুটা জলাবদ্ধতা মুক্ত করেছে এছাড়া স্লুইস গেইট গুলোও আমরা অনেক চেস্টা করে দখল হওয়া থেকে বাচিঁয়েছি সেখানে বর্তমানে স্লুইস গেইটের মুখ দখল করে যদি পাকা স্থাপনা হয তাহলে বর্ষা মৌসনে যদি পানি যেতে পারে না হলে আবারো জলাবদ্ধতা হবে বিশেষ করে পেশকার পাড়া,টেকপাড়া, নুরপাড়া সহ পুরু এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে তাই সময় থাকতে এই পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করা দরকার।

এ ব্যপারে কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন বর্তমান স্লইস গেইট দিয়ে পানি নিস্কাশন হতে পারছে না বলে আমরা নিজেদের জমি দিয়ে পানি নদীদে পড়ার ব্যবস্থা করেছি এলাকার অনেক সম্মানি মানুষ বহু জমি নালার জন্য ছেড়ে দিয়েছে সেখানে বর্তমানে স্লুইস গেইটের মুখ দখল করে দেয়াল নির্মান করা খুবই দুঃখ জনক দ্রুত এটা অপসারণ করা দরকার। যদি এখানে প্রশাসন ব্যার্থ হয় তা হলে সাধারণ জনগন নিয়ে মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। কারন মানুষকে বাচঁতে হবে এর আগেও স্লুইস গেইটের জমিতে মানুষ বসতবাড়ি করেছে। সেখানে সরজমিনে গিয়ে দেখলেই সব বুঝা যাবে। কিছু মানুষের কারনে পুরু শহরের মানুষ পানিতে থাকে সেটা হতে দেওয়া হবে না।

এ ব্যপারে সরজমিনে গিয়ে দেয়াল নির্মান কারি জমির মালির মোঃ রাসেদ জানান আমি হাবিবুল্লাহ বহদ্দারের ছেলে ফারুক থেকে জমি কিনেছি সে সূত্রে আমি জমির মালিক আর আমার কেনা জমিতে বাড়ি করার অধিকার আমার আছে আর আমি কোন নালার জমি দখল করিনি।

এ ব্যপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন বিষয়ে টি খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দেওয়া হবে।